আমার শুভাকাঙ্ক্ষীনির পেছন পেছন অনেক সুপুরুষ ঘুর ঘুর করবে। তাকে কামনাবাসনায় আশা করবে। তার কাছে নিজেকে সুযোগ্য প্রমাণ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু শুভাকাঙ্ক্ষীনি তাদের উপেক্ষা করে চলবে।
সবার প্রতিক্ষার শুভাকাঙ্ক্ষীনি একদিন যখন প্রকাশ্যে আমার হাতটি ধরে ঘুরবে তখন আমি নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান ভাবব। সেদিন সবার আশার প্রদীপ নিভে যাবে। ---- এমনটা আমরা অনেকেই চাই। আবার কারো চাওয়াগুলো এরকম-- আমার শুভাকাঙ্ক্ষীনির চোখ পর্যন্ত আমার দৃষ্টিতে সীমাবদ্ধ থাকবে। তাকে আমি ছাড়া কেউ দেখবে না, ছোবে না। তাকে আমি ছাড়া আর কেউ কল্পনা করবে না। তার ভাবনায় সবসময় আমি উদয়মান থাকব। আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীনিকে নিয়ে একেকজনের চাওয়াগুলো একেক রকম। তবু সবার চাওয়ায় একটাই মিল আছে-- সে যেন সবশেষে আমার হয়। এই চাওয়া যেই সম্পর্কে নেই, সে সম্পর্ক কোন সম্পর্ক নয়। আমরা সবাই চাই দিন শেষে সে যেন তার ছোট সময়টুকু আমাদের সাথে কাটায়। আমাদেরকে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীনি শাসন করলে তার মুখের উপর হয়তো রাগ দেখাই। কিন্তু সত্যি আমরা মনে মনে প্রচন্ড খুশি হই আমাদের প্রতি তার এমন যত্নের কারণে। আমরা চাই, আমি যেমন করে তাকে ভালবাসি সেও তেমন করে যেন আমায় ভালবেসে যত্নে করে। আমরা সবসময় একটা ছোট চাওয়া তাদের কাছে রেখে দেই। হ্যাঁ, আমরা জানি চাওয়াগুলোর আয়তন বিশাল হলে সেটা ভালবাসা থাকবে না, হয়ে যাবে অভাব পূরণের অঙ্গ। তবুও আমরা ছোট একটা চাওয়া রাখি। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাওয়াগুলো ত্যাগ করতে হয়। তবুও কেন জানিনা সে শুভাকাঙ্ক্ষীনি বলেই তার প্রতি একটা চাওয়া থেকেই যায়। এটাও অবাস্তব নয়-- সবার চাওয়াগুলো একরকমই হয়। যেমন-- যত্ন, শাসন, বারণ, সময়, স্নেহ। এই চাওয়াগুলো পূরণ করা কোন ব্যাপারই না। কারণ এই চাওয়াগুলো কিনতে হয় না, এর জন্য টাকা খরচ করতে হয় না। এগুলো মানবিক। আমরা সবাই যদি আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী/শুভাকাঙ্ক্ষীনিকে এই কয়টা চাওয়া দিয়ে তাকে মানবিক সুখ দিতে পারি তাহলে আমাদের কারো লোকসান হবে না অন্তত। সবশেষে এটাই কামনা, প্রত্যেকটা সম্পর্ক যেন টিকে থাকে, আটুট থাকে। তবে অশ্লীলতা থেকে দূরে না থাকলে কোন সম্পর্ক এগোতো পারবে না।
-- Article By Mehedi Hasan Hasib
0 Reviews:
Post a Comment