ভালোবাসা ব্যাপারটা আন্তরিক। বাহিরের শ্বেত চামড়ার উপর যখন আমরা লোভে পড়ে যাই তখন সেটাকেও ভালোবাসার সাদৃশ্যতায় নেই। এটা সম্পূর্ণ ভুল।
আমি দোকানে গেলাম সাবান কিনতে--কী সাবান কিনবো তা জানি না তবে উদ্দেশ্য ভালো সাবানটা কিনবো। একটা সাবানের প্যাকেট দেখলাম বেশ আকর্ষণীয় মোড়কে। সেই সাবানটাই কিনে নিয়ে গেলাম। তারপর গোসল করার সময় দেখলাম সাবানটা তাড়াতাড়ি গলে যায় এবং সাবান থেকে তেমন ফ্রেগরেন্সও পাচ্ছি না। এখন এই অবস্থায় আমার যে কয়টি প্রশ্ন-- আমার কী ভালো সাবান কেনার উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে? আমি কী সাবানটিকে ভালো সাবান বলবো নাকি সাবানটির মোড়ককে ভালো মোড়ক বলবো? বাহিরের মোড়কের সাথে কী ভিতরের পন্যের মিল খুঁজে পেলাম?
-- অবশ্যই উত্তরগুলো না'বোধক। ভালোবাসা শব্দকে ঠিক এই মোড়কের মতো ব্যবহার করে আমরা করছি অবসর কাটানো প্রেম বা আবেগময় ল্যাট্কা খিচুড়ি মার্কা প্রেম। ভালোবাসার মান বিচার করতে পারবে তুমি অসুন্দর মানুষটার ভিতরে। কারণ তার শারীরিক অসৌন্দর্য তাকে আন্তরিক বা অভ্যন্তরীন সৌন্দর্য দান করেছে। সত্যিই একটা ব্যাপার কী-- ভালোবাসা পারিপার্শ্বিক প্রতিবন্ধকতা মানে না। হোক না বয়সে বড় কিংবা ছোট বা জাতে-ধর্মে আলাদা, কালো কিংবা সাদা, লম্বা কিংবা খাটো, নাক বোচা কিংবা সূচালো, চোখ ট্যাড়া কিংবা অন্ধ। ভালোবাসার একটা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব যা তাহলো দুজনের প্রতি দুজনের বোঝাবুজি। তুমি তাকে কতোটা ভালো মতো বুঝতে পারছো, সে তোমাকে কতোটা ভালো মতো বুঝতে পারছে--এটাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার সম্পর্ক প্রাণোচ্ছল রাখার। পরস্পরের প্রতি পরস্পরের বিশ্বাস, দুজন দুজনের ভুলে ক্ষমা করে দেয়ার ক্ষমতা এবং মনোভাব এগুলো সম্পর্কে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ সেটা নয় যে-- সে এঞ্জেল মালেকা বানু। তাকে আমি যখন বলি তখন ডেটিং এ যায়, রুম ডেট, ফিজ্যিকাল যখন বলি তখন দেয়। বিপদে পড়লে আমাকে ক্যাশ টাকা দেয়। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়। এগুলো শুধুই অবসর কাটানো লুতুপুতুমার্কা প্রেম, ভালোবাসা নয়।
ভালোবাসা গভীর অনুভবের বিষয়। কেউ যদি তোমাকে ভালোবাসে তাহলে তুমি নিজেই বুঝতে পারবে যখন তুমি গভীরভাবে চিন্তা করবে। আর এই চিন্তাটাই কেউ করে না। তারা ভাবে, যাচ্ছে যেমন যাক। তুমি কাউকে ভালোবাসলে কোন লজিক দিয়ে দাঁড় করাতে পারবে না, তুমি ঠিক কোন কারণে তাঁকে ভালোবাসো।
একটা ব্যাপার খেয়াল করেছো-- আমাদের কিছু মা তাঁদের প্রতিবন্ধী সন্তানকে কি কখনো ফেলে দিয়েছে? সন্তান অন্ধ হোক, পঙ্গু হোক, কয়লার মতো কুচকুচে কালো হোক তবুও কি তাঁরা তাদের সন্তানের থেকে দূরে সরে যায়; ঘৃণা করে? - না, বরং তাদের প্রতি আরো যত্নশীল হয়। এটাকে ভালোবাসা বলা চলে? কোন স্বার্থকতা নেই তাদের ভালোবাসায়। ঠিক তেমনি যখন তোমরা স্বার্থ ছাড়া দুজন দুজনকে ভালোবাসবে তখনই সেটা হবে স্বার্থক সম্পর্ক। আর এই স্বার্থক সম্পর্ক ছাড়া কোন সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়না।
তবেঁ একটা ব্যাপার-- সম্পর্কগুলোতে একটা চাওয়া পাওয়া রয়েই যায় যার কোন জের নেই। এই চাওয়া-পাওয়াগুলো আমাদের সীমাবদ্ধ করে দিতে হবে। মদ্দা কথা-- ফেরত পাওয়ার আশা না করেই ভালোবাসতে হবে। তাঁকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভালোবাসা সেটাই যা নিজেকে সম্পূর্ণ 'তাঁর' রুপে বদলে নিতে হয়; তাঁকে প্রতি মুহূর্ত অনুভব করতে হয়; তার কষ্টে কষ্ট পেতে হয়; তার হাসিতে হাসতে হয়; তার গর্বে গর্বিত হতে হয়।
আমি দোকানে গেলাম সাবান কিনতে--কী সাবান কিনবো তা জানি না তবে উদ্দেশ্য ভালো সাবানটা কিনবো। একটা সাবানের প্যাকেট দেখলাম বেশ আকর্ষণীয় মোড়কে। সেই সাবানটাই কিনে নিয়ে গেলাম। তারপর গোসল করার সময় দেখলাম সাবানটা তাড়াতাড়ি গলে যায় এবং সাবান থেকে তেমন ফ্রেগরেন্সও পাচ্ছি না। এখন এই অবস্থায় আমার যে কয়টি প্রশ্ন-- আমার কী ভালো সাবান কেনার উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে? আমি কী সাবানটিকে ভালো সাবান বলবো নাকি সাবানটির মোড়ককে ভালো মোড়ক বলবো? বাহিরের মোড়কের সাথে কী ভিতরের পন্যের মিল খুঁজে পেলাম?
-- অবশ্যই উত্তরগুলো না'বোধক। ভালোবাসা শব্দকে ঠিক এই মোড়কের মতো ব্যবহার করে আমরা করছি অবসর কাটানো প্রেম বা আবেগময় ল্যাট্কা খিচুড়ি মার্কা প্রেম। ভালোবাসার মান বিচার করতে পারবে তুমি অসুন্দর মানুষটার ভিতরে। কারণ তার শারীরিক অসৌন্দর্য তাকে আন্তরিক বা অভ্যন্তরীন সৌন্দর্য দান করেছে। সত্যিই একটা ব্যাপার কী-- ভালোবাসা পারিপার্শ্বিক প্রতিবন্ধকতা মানে না। হোক না বয়সে বড় কিংবা ছোট বা জাতে-ধর্মে আলাদা, কালো কিংবা সাদা, লম্বা কিংবা খাটো, নাক বোচা কিংবা সূচালো, চোখ ট্যাড়া কিংবা অন্ধ। ভালোবাসার একটা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব যা তাহলো দুজনের প্রতি দুজনের বোঝাবুজি। তুমি তাকে কতোটা ভালো মতো বুঝতে পারছো, সে তোমাকে কতোটা ভালো মতো বুঝতে পারছে--এটাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার সম্পর্ক প্রাণোচ্ছল রাখার। পরস্পরের প্রতি পরস্পরের বিশ্বাস, দুজন দুজনের ভুলে ক্ষমা করে দেয়ার ক্ষমতা এবং মনোভাব এগুলো সম্পর্কে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ সেটা নয় যে-- সে এঞ্জেল মালেকা বানু। তাকে আমি যখন বলি তখন ডেটিং এ যায়, রুম ডেট, ফিজ্যিকাল যখন বলি তখন দেয়। বিপদে পড়লে আমাকে ক্যাশ টাকা দেয়। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়। এগুলো শুধুই অবসর কাটানো লুতুপুতুমার্কা প্রেম, ভালোবাসা নয়।
ভালোবাসা গভীর অনুভবের বিষয়। কেউ যদি তোমাকে ভালোবাসে তাহলে তুমি নিজেই বুঝতে পারবে যখন তুমি গভীরভাবে চিন্তা করবে। আর এই চিন্তাটাই কেউ করে না। তারা ভাবে, যাচ্ছে যেমন যাক। তুমি কাউকে ভালোবাসলে কোন লজিক দিয়ে দাঁড় করাতে পারবে না, তুমি ঠিক কোন কারণে তাঁকে ভালোবাসো।
একটা ব্যাপার খেয়াল করেছো-- আমাদের কিছু মা তাঁদের প্রতিবন্ধী সন্তানকে কি কখনো ফেলে দিয়েছে? সন্তান অন্ধ হোক, পঙ্গু হোক, কয়লার মতো কুচকুচে কালো হোক তবুও কি তাঁরা তাদের সন্তানের থেকে দূরে সরে যায়; ঘৃণা করে? - না, বরং তাদের প্রতি আরো যত্নশীল হয়। এটাকে ভালোবাসা বলা চলে? কোন স্বার্থকতা নেই তাদের ভালোবাসায়। ঠিক তেমনি যখন তোমরা স্বার্থ ছাড়া দুজন দুজনকে ভালোবাসবে তখনই সেটা হবে স্বার্থক সম্পর্ক। আর এই স্বার্থক সম্পর্ক ছাড়া কোন সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়না।
তবেঁ একটা ব্যাপার-- সম্পর্কগুলোতে একটা চাওয়া পাওয়া রয়েই যায় যার কোন জের নেই। এই চাওয়া-পাওয়াগুলো আমাদের সীমাবদ্ধ করে দিতে হবে। মদ্দা কথা-- ফেরত পাওয়ার আশা না করেই ভালোবাসতে হবে। তাঁকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভালোবাসা সেটাই যা নিজেকে সম্পূর্ণ 'তাঁর' রুপে বদলে নিতে হয়; তাঁকে প্রতি মুহূর্ত অনুভব করতে হয়; তার কষ্টে কষ্ট পেতে হয়; তার হাসিতে হাসতে হয়; তার গর্বে গর্বিত হতে হয়।
0 Reviews:
Post a Comment