একটা ছেলেকে যখন ছোট থেকে অতিরিক্ত শাসন করা হয়, ধীরে ধীরে তার মনে স্বাধীনতার পাওয়ার উপযোগ সৃষ্টি হতে থাকে। স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য সে ছটফট করে। সে আর ঘরে বন্দী থাকতে চায় না। তারও মন চায় ছাদে বা বাহিরে দৌড়াদৌড়ি করে খেলতে, ছুটতে। সারাক্ষণ বাচ্চা ছেলেটার বই নিয়ে বসে থাকতে ভাল লাগে না। ধীরে ধীরে বাচ্চা ছেলেটা তার স্বাধীনতা না খুঁজে পেয়ে কল্পনা করতে থাকে স্বাধীনতার অুনভূতি। বই সামনে বসে কল্পনা করে, খেতে খেতে কল্পনা করে, ঘুমাতে গেলে শুয়ে শুয়ে সে কল্পনা করে সেও বাকি বাচ্চাদের মতো ছুটছে, খেলছে। এভাবেই একটা বাচ্চা ছেলে অতিশয় কল্পনাপ্রবণ হয়ে পড়ে। সমাজ এবং মানুষের কাছ থেকে একসময় দূরে দূরে থাকে। আরো সময় গেলে হয়তো সে মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে উঠে। আর কিছু বাচ্চা অতিরিক্ত শাসন আর ঘরবন্ধীর জন্য ভাবতে থাকে কী করে স্বাধীনতা পাওয়া যায়। সে একসময় মার খাওয়ার ভয় উপেক্ষা করে বাসা থেকে চুরি করে বের হয়ে ছুটে যায় খেলার জন্য। তারা পরোয়া করেনা। এভাবে অতিরিক্ত শাসনে তারা সেই ছোট থেকেই বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত হতে থাকে এবং একসময় কোন এক পর্যায়ে তারাই সন্ত্রাসী হয়।
আমরা প্রত্যেক বাবা-মাই চাই আমার সন্তানের যেন ভাল হোক। আমাদের এই চাওয়াটা অন্যায় নয় কিন্তু এই চাওয়া বাস্তবায়নে আমাদের কাজ করার প্রক্রিয়াটা একটু ভুল। আমরা বাবা-মা হয়ে আমাদের নিজেদের মতো করে চিন্তা করি হয়তো এই কাজগুল আমাদের সন্তানের জন্য ভাল। কিন্তু আমরা একবারও সন্তানদের অবস্থানে নিজেকে চিন্তা করে দেখিনা কোনটা সত্যিই তাদের জন্য ভাল। ছোট থেকেই সন্তানদের অতিরিক্ত শাসন, বারন করলে তারা শুধু মানসিক প্রতবন্ধীই হয় না, তারাই সিরিয়াল কিলিয়ার হয়। তারাই তাদের বাবা-মার হত্যার দায়ে একসময় অপরাধী হয়। আমরা চিন্তা করি-- হয়তো আমাদের ছেলেটা সবসময় বাসায় বন্দী থাকলে ভালো হবে। কিন্তু আমরা সন্তানের অবস্থানে থেকে চিন্তা করি না। হয়তো আমাদের সন্তানরা এমন ঘরবন্দী থেকে মনে মনে ভাবছে-- ইস, খেলতে কি মজা। আমার বাবা-মা এতো খারাপ কেন আমাকে তারা বাহিরে যেতে দেয় না কেন? খেলতে দেয় না কেন? আমি একবার বাহিরে যাওয়ার সুযোগ পেলে আর আসব না। এভাবেই, সন্তানদের মনে অপরাধের প্রবৃত্তি জন্মাতে থাকে। আপনি তার ভাল চাইতে যে ভুলটা করছেন, এতে তার বিপরীত হবে।
আমাদের প্রত্যেক বাবা-মার উচিৎ আমাদের সন্তানদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরন করা যাতে করে সন্তানের ভাল-মন্দ চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। তাদের অবস্থান থেকে চিন্তা করে তাদের ভাল-মন্দ নির্বাচন করা। তাদের খেলাধুলার সুযোগ দেয়া। তাদের পছন্দের কাজে তাদের উৎসাহিত করা। মনে রাখবেন, আপনি যদি আপনার নিজের শাসনেই নিজে সঠিক পথে চলতে না পারেন তাহলে সেই শাসন আপনার সন্তানেরর জন্যও ক্ষতিকর হবে।
আপনার সন্তানকে অতিরিক্ত শাসন করবেন না
মোটিভেশন
লাইফ
সংবাদ

ছেলে-মেয়েকে কখনো অতিরিক্ত শাসন করবেন না
আপনার সন্তানকে অতিরিক্ত শাসন করবেন না
মোটিভেশন
লাইফ
সংবাদ
অতিরিক্ত শাসনে আপনার সন্তান হয়ে উঠতে পারে মানসিক প্রতিবন্ধী। বাচ্চাদের তাদের নিজের মত করে খেলতে দিন
0 Reviews:
Post a Comment